আগামীর জন্য, অন্যরকম প্রজন্ম...
মানুষ বিখ্যাত হয় তাঁদের চিন্তার গভীরতার জন্য। মানুষের চিন্তাই হাজার বছরের কুসংস্কার দূর করে, তৈরি করে নতুন কিছু অথবা জুলুম-নির্যাতনের শৃঙ্খল ভাঙে। একটি জটিল অংক কয়েকবার ভুল করে যখন সঠিক উত্তরে পৌঁছাই তখন পেছনে তাকালে দেখতে পাই কত ভাবেই না তা সমাধানের জন্য চেষ্টা করেছি। তাই চিন্তা করা যোগ্য মানুষ হওয়ার একটি আবশ্যকীয় গুণ। চিন্তার ফল সব সময় নগদ পাওয়া যাবে না, লেগে থাকতে হবে। অসফল হলেই চেষ্টা করা বন্ধ করে দেয়া যাবে না, কারণ এটা সমাধান নয়। হতে পারে পরের চেষ্টাই পূর্বের সকল অপ্রাপ্তিকে ম্লান করে দিবে।
মানুষ যতক্ষণ পর্যন্ত সমস্যা সমাধানে লেগে থাকে ততক্ষণ পর্যন্ত সে ব্যর্থ নয়। গবেষণা বলে, কেউ যদি কোনো বিষয়ে যথাযথাভাবে ১০,০০০ ঘন্টা সময় দেয় তবে সে সেই বিষয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যায়। সুতরাং বুঝাই যাচ্ছে লেগে থাকা সফলতার অন্যতম শর্ত।
আত্মবিশ্বাস অনেক অসাধ্যকে সাধন করতে পারে। তাই মানুষ যখন বিশ্বাস করে- সম্ভব নয়, তখন সে পারে না। যেদিন বিশ্বাস করে- সম্ভব, সেদিন থেকেই সে সফলতার কাছাকাছি যেতে থাকে। কিন্তু চিন্তা করার ক্ষমতা, লেগে থাকার অভ্যাস এবং আত্মবিশ্বাসী হয়েও সে সমাজের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই মূল্যবোধহীন শিক্ষা অপূর্ণ। মূল্যবোধের ধারণা গভীর এবং দৃঢ় না হলে চিন্তা করে- লেগে থেকে – পরিশ্রম করে একজন মানুষ যোগ্য ‘মানুষ’ হওয়ার বদলে ‘ক্ষতিকর মানুষ’ হয়ে উঠতে পারে।
সমস্যা হলো, মূল্যবোধ এর শিক্ষা বই পড়ে হয় না। মূল্যবোধের সৃষ্টি ও বিকাশ সাধিত হয় চর্চার দ্বারা, আশেপাশের মহান মানুষদের অনুসরনে। অন্যথায় “ভাল-মন্দ, ভুল-সঠিক” বোধ তৈরি হয় না, অথচ এটা সবচেয়ে বেশি জরুরী। মুল্যবোধহীন মানুষদের মধ্যে যে যত বেশি শিক্ষিত, পৃথিবীর জন্য সে ততবেশি ক্ষতিকর। তাই শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য অর্জন করতে হলে বা যোগ্য মানুষ হতে হলে আমাদের উক্ত ৪টি গুণ নিজেদের মধ্যে ধারণ করতে হবে। এই বিষয়গুলো যদি আমরা অনুধাবন না করি তবে পড়ালেখার মত সুন্দর বিষয়টিও আমাদের শিক্ষার্থীদের কাছে- হয় অত্যাচার, নয় কদাকার মনে হবে। আর শিক্ষার্থীরা যাতে তাঁদের প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার মধ্য দিয়েই উপরিউক্ত গুনগুলো অর্জন ও ধারণ করতে পারে – এ লক্ষ্য সামনে রেখেই ফাহিম আব্দুল্লাহ এর পথ চলা...
Trade License: TRAD/DNCC/040699/2024